দ্বীনী বিষয়ে নবী ছাড়া অন্য কারো রায় গ্রহণ করা

Deen Rayমুহাদ্দীসগনের হাদীস বা সনদ সম্পর্কের কথা মেনে নেয়া তাকলীদ নয়ঃ

মহাদ্দীসগণ যে হাদীসগুলো বণর্না করেন এবং সহীহ ও যয়ীফ হওয়ার হুকুম নিণর্য় করেন বর্ণনার নীতিমালার আলোকে এটি তাদের যাচাই এবং খবর। তাদের রায় নয়। রায় বা ইজতিহাদ এবং খবরের মাঝে পাথর্ক্য বণর্নার মূখাপেক্ষী নয়। উদাহরণস্বরুপ, এক ব্যক্তি বলল, “আমার মতামত এটা” আরেক ব্যক্তি বলল, “আমি এমন শুনেছি বা দেখেছি”, এখানে মতামত বিশিষ্ট বাক্য হলো রায়, আর শুনেছি ও দেখেছি বাক্যে খবর দেয়া হয়েছে। উভয় বাক্য এক নয়। এভাবে শরীয়াত নবী (সা) ছাড়া অন্য কারো রায় বা গবেষণাকে গ্রহণ করা ওয়াজিব করেনি। কিন্তু নির্ভরযোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষ্য এবং খবর গ্রহণ করতে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে। মহাণ আল্লাহ বলেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ

“হে ইমানদারগণ! যদি তোমাদের কাছে কোন ফাসেক কোন খবর নিয়ে আসে তবে তোমরা তা যাচাই নিরক্ষণ করে নাও।” [০১]

এর বিপরীত অর্থ হল, কোন ন্যায়বান এবং পরহেযগার বা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি খবর নিয়ে আসলে তা গ্রহণ করে নাও। এ ছাড়াও সাক্ষ্যের ধারাবাহিকতায় অনেক আয়াত ও হাদীস রয়েছে যেখানে খবরকে গ্রহণ করার অনেক দলীল বিদ্যমান। সুতরাং আমরা যখন মুহাদ্দীসগণের হাদীস বা সনদ সম্পর্কের কথাগুলো মেনে নেই তখন তাকলীদ করিনা, বরং শরীয়াত নির্দেশ মোতাবেক বর্ণনা খবর বা শাহাদতকে গ্রহণ করি। কেননা শরীয়াত তা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। মানুষের রায় ক্ববুলের নির্দেশ দেয়নি।

মূল উৎসঃ ত্বাকলীদ কী শারঈ হাইসিয়্যাতঃ পৃষ্ঠা ৬২ [০২]

লেখকঃ শাইখ জালাল উদ্দিন কাসমী          |          অনুবাদকঃ শাইখ নুরুল আবসার

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।

—————————————————————————————————-

[01] সূরা-হুজুরাতঃ সুরা-৪৯ঃ আয়াত-০৬

[০২] বইটির সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ এখন “শারঈ মানদণ্ডে তাক্বলীদ প্রশ্ন ও সংশয় নিরশন” নামে তাওহীদ পাবলিকেশন্সে পাওয়া যাচ্ছে।


Leave a comment